পশ্চিমবঙ্গে ঐতিহাসিক পরিবর্তন !! রাজ্যপাল নন, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এতদিন যাবৎ পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য (Chancellor) পদে থাকা রাজ্যপাল সম্ভবত আর আচার্য পদ অলংকৃত করে থাকতে পারবেন না। এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত। আইন সংশোধন-এর জন্য আস্তে চলেছে নতুন বিল। বিধান সভার আগামী অধিবেশনে সেই বিল পেশ করা হবে।
২৭ তারিখ বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু এদিন জানান যে মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য্য পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী-র নাম গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রীসভা থেকে এই প্রস্তাবটি বিধানসভা যাবে সেখানে সবাই একমত হলে এই বিলটি আইন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হবে।
তাহলে কি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতেই এই ফল।
✌️ 🔥 বিঃ দ্রঃ : আপনি যদি সমস্ত চাকরির নোটিশ সবার আগে পেতে চান, প্রতিদিন মকটেস্ট ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পেতে চান তাহলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল-এ এখনই যুক্ত হয়ে যান।
Join Our Telegram Channel | CLICK HERE |
Notification update | CLICK HERE |
✅🔥🔥বিপুল বেসরকারি -সরকারি চাকরির খবর পেতে ক্লিক করুন
মাধ্যমিক পাশে সমস্ত লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর | দেখুন |
উচ্চমাধ্যমিক পাশে সমস্ত লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর | দেখুন |
গ্রাজুয়েট/স্নাতক পাশে সমস্ত লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর | দেখুন |
ইঞ্জিনীরিং পাশে লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর | দেখুন |
শিক্ষাবিভাগের লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর | দেখুন |
স্বাস্থ্য বিভাগের লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর | দেখুন |
GK, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ,পরীক্ষা প্রস্তুতি | দেখুন |
সমস্ত লেটেস্ট চাকরির খবর | দেখুন |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কি সত্যিই আচার্য হবেন? এই সিদ্ধান্তের পেছনে আসল কারণ কি ? Bengal CM Mamata Banerjee is proposed to be the Chancellor of all Universities.
শিক্ষাদপ্তরসূত্রে খবর : রাজ্যের অধিনস্থ্য একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor- V.C) নেই। স্থায়ী উপাচার্যের জন্য বার বার রাজভবনে ফাইল পাঠালেও সেই ফাইল সব ফেরত এসেছে।
রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই উপাচার্য নিয়োগ করার কথা আচার্য্য তথা রাজ্যপালের। কিন্তু ২০১৯ সল থেকে রাজ্য -রাজ্যপাল সংঘাত হয়েছে বার বার।
স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে নিয়োগে আচার্যের মনোনীত প্রতিনিধি এই দুটি বিষয় নিয়ে বার বার রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাত হয়েছে(Mamata Banerjee-Jagdeep Dhankar fight)। বার বার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দীর্ঘ্যদিন যাবৎ সমাবর্তনও হয়নি। এসব সমস্যা দূর করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার সিদ্ধান্ত , সূত্রের খবর।
আচার্য পদে এলে কি করবেন মুখ্যমন্ত্রী ?
উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠনে মনোনীত নাম পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়ে তামিলনাড়ু ও কেরল সরকার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে ২০১০ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে পুঁজি কমিশন তৈরী হয়। আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তাব প্রথম দে এই পুঁজি কমিশন।
সূত্রের খবর : এই আচার্য সংক্রান্ত বিলে রাজ্যপাল সায় না দিলে অর্ডিন্যান্স আনবে রাজ্য সরকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গেলো এই বাংলায়। করলে এ বিষয়ে বিবাদ হয়েছে কিন্তু এতদূর বিষয়টি এগিয়ে যায়নি।
শিক্ষাব্যবস্থা একটি অরাজনৈতিক ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে রাজনীতির বাইরে শিক্ষাব্যবস্থাকে রাখতে গেলে একজন অরাজনৈতিক পদপ্রার্থী ব্যক্তিকেই এই দায়িত্বে রাখা উচিত। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি হাওয়ার কারণে তাঁকে এই দায়িত্ত্বে রাখা হয়েছিল।
তবে আবার কারো কারো মোতে , যদি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন তাহলে রাজ্যের ক্ষেত্রে এই নিয়মের অন্যথা হবে কেন ?