WBCS কি | WBCS ki?

0
622

WBCS 2023:পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বহু ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্ন West Bengal Civil Service বা সংক্ষেপে WBCS হল সেই পরীক্ষা , যা পাশ করে পশ্চিমবঙ্গে একজন উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক বা আমলা হওয়া যায়।

ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্য তার নিজস্ব প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য বেশ কিছু উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক নিয়োগ করে থাকে। এই নিয়োগের জন্য প্রতিটি রাজ্যের অসামরিক প্রশাসনিক বিভাগ বা public service commission আছে।

পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়োগের জন্য West Bengal public service commission একটি পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে যার নাম WBCS বা West Bengal Civil Service

আমাদের এই অনুচ্ছেদটি পড়লে আপনি wbcs কি , কিভাবে নিয়োগ হয় একজন wbcs অফিসার , তাঁদের ক্ষমতা , কাজের বিবরণ সমস্তকিছু আপনি বিশদে জানতে পারবেন।

WBCS এর পুরোনাম কি । wbcs er puro nam ki ?

WBCS এর পুরো নাম হল West Bengal Civil Service ( ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস )। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি পরীক্ষা, যা কন্ট্রোল করে থাকে West Bengal public service commission । এই পরীক্ষার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়।

✌️ 🔥 বিঃ দ্রঃ : আপনি যদি সমস্ত চাকরির নোটিশ সবার আগে পেতে চান, প্রতিদিন মকটেস্ট ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পেতে চান তাহলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল-এ এখনই যুক্ত হয়ে যান।

Join Our  Telegram Channel CLICK HERE
Notification updateCLICK HERE
সমস্ত চাকরির খবর ও প্রস্তুতি এক ক্লিকেই

✅🔥🔥বিপুল বেসরকারি -সরকারি চাকরির খবর পেতে ক্লিক করুন

মাধ্যমিক পাশে সমস্ত লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর দেখুন
উচ্চমাধ্যমিক পাশে সমস্ত লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর দেখুন
গ্রাজুয়েট/স্নাতক পাশে সমস্ত লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবরদেখুন
ইঞ্জিনীরিং পাশে লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর দেখুন
শিক্ষাবিভাগের লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর দেখুন
স্বাস্থ্য বিভাগের লেটেস্ট সরকারি চাকরির খবর দেখুন
GK, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ,পরীক্ষা প্রস্তুতি দেখুন
সমস্ত লেটেস্ট চাকরির খবর দেখুন
বেসরকারি -সরকারি চাকরির খবর । government job news

WBCS এর ইতিহাস। History of WBCS:

WBCS কি তা জানতে গেলে প্রথমেই WBCS এর ইতিহাস জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

পরাধীন ভারতবর্ষে সকলপ্রকার আধিকারিক পদে কেবলমাত্র মহারানী ভিক্টোরিয়ার দেশের লোকদেরই (ইংল্যান্ডবাসী) নিয়োগ করা হতো। প্রাথমিক পর্যায়ে , কোনও ভারতীয়রা এই আধিকারিক পদে যুক্ত হওয়ার অধিকার পেতেন না।

কিন্তু ভারতীয় শিক্ষিত যুবকদের ক্রমাগত আন্দোলন সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।

মন্টেগু চেমস্ফোর্ড রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তৎকালীন ভারতীয় শিক্ষিত যুবকদের ক্রমাগত চাপে ইংরেজ সরকার ভারতীয় আইন ১৯১৯ (Govt. of India Act 1919) গঠন করেন , যেখানে section 96 C তে ভারতীয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়।

এই কমিশনটি মূলতঃ ভারতীয় অসামরিক প্রশাসনিক কাজকর্মগুলি নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক আধিকারিক নিয়োগের অধিকার ধারণ করার উদ্দেশ্যে গঠনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল।

Govt. of India Act 1919 আইনটি প্রস্তাবনার পরে রাজ্য সচিব, গভর্নমেন্ট ও স্থানীয় সরকার-এর মধ্যে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে দীর্ঘ চিঠিপত্রের মাধ্যমে এই প্রশাসনিক বিভাগের কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা চলতে থাকে।

পরবর্তীকালে, লি কমিশন তার ২৭ মার্চ, ১৯২৪ তারিখের রিপোর্টে, আর কোনো বিলম্ব ছাড়াই ভারত সরকারের আইন, ১৯১৯ (Govt. of India Act 1919) দ্বারা প্রস্তাবিত পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিল। অর্থাৎ এই সময় থেকেই প্রকৃত wbcs এর সূচনা।

WBCS পরীক্ষা । WBCS Exams

WBCS কি তা বিস্তারিত ভাবে জানতে গেলে WBCS Exam পরীক্ষাটির বিষয়ে জানা প্রয়োজন। WBCS পরীক্ষাটি পরিচালনা করে থাকে WBPSC (West Bengal Public Service Commission) বোর্ড। এই পরীক্ষার তিনটি ধাপ আছে। ধাপগুলি হলো প্রিলি পরীক্ষা (Preliminary Exams) , মেইন পরীক্ষা (Main Exams), পার্সোনালিটি টেস্ট বা ইন্টারভিউ।

এই পরীক্ষায় আপনি কেমন স্কোর করছেন আর কোন পদের জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে পরীক্ষার্থী কোন পদে চাকরিতে যুক্ত হবেন।

প্রিলি পরীক্ষা (Preliminary Exams)-তে দেখা হয় সাধারণ বিষয়গুলি কেমন জানা আছে। মোট ৮টি বিষয়ের জ্ঞান দেখা হয় যেমন : যুক্তি, ইংরেজি ভাষা, ইতিহাস, ভূগোল, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, সাধারণ জ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান এবং ভারতীয় রাজনীতি ও অর্থনীতি।

২০০ নম্বর এর পরীক্ষা মোট আড়াই ঘন্টা সময় দেওয়া হয়।

মেইন পরীক্ষাতে ১ম পত্রে বাংলা, হিন্দি, উর্দু, নেপালি বা সাঁওতালি যে কোনো একটি নির্বাচন করতে হবে। এই পত্রটি মোট ২০০ নম্বর এর হবে। WBCS এর এই প্রশ্নপত্রটি একটি বিস্তারিত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন পত্র।

২য় পত্রে থাকবে শুধু ইংরেজি। ১ম পত্রের মতো বাকি সব নিয়ম একই থাকবে এক্ষেত্রেও।

৩য় পত্রে প্রশ্ন থাকবে গাথারণ বিষয় থেকে। মূলত এই পত্রে ইতিহাস ও ভূগোল থেকে প্রশ্ন দেওয়া থাকে।

চতুর্থ পত্রে মূলতঃ প্রশ্ন থাকবে সাধারণ জ্ঞান , বিজ্ঞান , পরিবেশ বিজ্ঞান , সমকালীন ঘটনাবলী ইত্যাদি বিষয় থেকে।

পঞ্চম পত্রে মূলতঃ ভারতীয় অর্থনীতি ও ভারতীয় সংবিধান থেকে প্রশ্ন থাকে।

ষষ্ঠ পত্রে গণিত ও যুক্তি বিষয়ে কেমন জ্ঞান সেটা দেখা হয়।

সপ্তম ও অষ্টম পত্রে দুটি ঐচ্ছিক বিষয় নির্বাচন করা যায় ও আট টি পত্রের মোট নম্বর এর পরিমান হয় ১৬০০

মনে রাখতে হবে যে প্রধান পরীক্ষাতে (mains) প্রথম , দ্বিতীয় , সপ্তম ও অষ্টম এই চারটি পরীক্ষাপত্র মূলত আলোচনামূলক উত্তর ভিত্তিক প্রশ্ন করা হয়। বাকি প্রশ্নপত্রগুলিতে MCQ প্রশ্ন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here