WB Mid day meal: মাংস-ফল পড়ুয়ারা মিডডে মিলে পাবেন ? নতুন মেনু । এবার থেকে কি মাংস-ফল | chicken in wb mid day meal

wb mid day meal- new menuwb mid day meal- new menu

wb mid day meal- new menu

লক্ষ্য কি পঞ্চায়েত ভোট? রাজ্যে মিড ডে মিলে বরাদ্দ আরও ৩৭১ কোটি টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হলো। এই প্রশ্নই তুলছেন বিরোধীরা। মাংস-ফল ইত্যাদি এবার মিডডে মিলে দেওয়ার পরিকল্পনা কি পঞ্চায়েত ভোট লক্ষ করেই ?

যদিও সরকার বলছে এই বরাদ্দ এই কারণেই করা হয়েছে যাতে পড়ুয়ারা মরশুমী ফল ডিম মাংস ইত্যাদি তাদের খাবার মেনুতে থাকে।

WB Mid day meal: কত টাকা বাড়ানো হচ্ছে Mid day meal এর নতুন বরাদ্দে ? Increment in Mid day meal fund in west bengal

এই অতিরিক্ত বরাদ্দ টাকা আসলে প্রতিটি পড়ুয়ার মাথাপিছু সপ্তাহে কুড়ি টাকা বাড়িয়ে দিচ্ছে অর্থাৎ সপ্তাহে ছয় দিন কাজের দিন হিসেবে ধরলে প্রতিটি পড়ুয়া প্রতিদিন অতিরিক্ত তিন টাকা তেত্রিশ পয়সা হিসেবে খাবার পাচ্ছেন।

কিন্তু এই টাকাতে কি আসলেই মাংস মরশুমি ফল ডিম ইত্যাদি ওই পড়ুয়াদের পাতে দেওয়া যাবে? প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক মহল ও বিরোধীপক্ষ।

WB WB Mid day meal fund increases: মিডডে মিল এর এই নতুন মেনু নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কি বলছেন ?

একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন,

” এই ৩ টাকা ৩৩ পয়সা বাড়িয়ে আগে যা দেওয়া হচ্ছিল পড়ুয়াদের পাতে তার সাথে কি করে সম্ভব মাংস ডিমমরশুমি ফল ইত্যাদি, পড়ুয়াদের পাতে অতিরিক্ত সংযোগ করা? এখন একটি কমলালেবুর দাম বাজারে ১০ টাকা। কি করে সম্ভব হবে সপ্তাহে প্রতিদিন তাকে এই খাবার দেওয়া এখন এর যা বাজারদর।

আমরা রাজ্যের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা বহুদিন ধরে দাবি করেছি যে হয় আমাদের এই মিড ডে মিল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক অথবা মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ টাকার পরিমান বাস্তবিক বাজারদর চিন্তা করে বাড়ানো হোক। যারা এই টাকাতে পারবেন তারা অর্থাৎ সরকারি আধিকারিকরা এক সপ্তাহ এই টাকাতে করে আমাদের দেখিয়ে দিন সত্যিই কিভাবে এই বরাদ্দ টাকায় এই গুণমান সম্পন্ন খাবার দেওয়া কিভাবে সম্ভব, তারপর আমরাও সেইভাবেই চালাবো। “

আরেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ” আজকের যা বাজারদর সেখানে কুড়ি টাকায় বড়জোর একদিন চিকেন দেওয়া যেতে পারে অথবা সপ্তাহে দুদিন তাকে একটা করে ফল বা একটা করে ডিম দেওয়া যেতে পারে। সত্যিই যদি তারা শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিয়ে ভাবিত ও চিন্তিত হন তাহলে বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত বরাদ্দ তাদের করা উচিত বলে আমরা শিক্ষক মহল মনে করছি।”

WB Mid day meal: বিরোধীরা এই মিড্ ডে মেল নিয়ে কি বলছেন ? What do the opposition parties say about this new menu in WB Mid day meal?

এখন আসুন জেনে নি ই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তিনি TV9 বাংলার নিউজ রিপোর্টারের সামনে কি বলেছেন একবার জেনে নিই।

তিনি বলেছেন এটা পঞ্চায়েত ভোট না বাচ্চাদের যাতে মিড ডে মিল ঠিকমতো দেওয়া যায় তাদের যাতে অসুবিধা না হয়। বাচ্চা গুলো যাতে ঠিকমতন খাওয়া-দাওয়া পায় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত একজন সরকারি কর্মচারী তিনি অন্তত খাবার টাকা পান একটি গরিবের বাচ্চা যখন স্কুলে যায় সে না খেয়ে যায়। তার খাওয়াটা আরো বেশি এসেনশিয়াল কালকের জেনারেশন তৈরি হয়। এরা বুঝতে পারবে না। তেলের মাথায় তেল নয় নেই যার তার পেছনে দাঁড়াও এটা প্রায়োরিটি হওয়া উচিত।

এখন গোটা মুরগি দেড়শ টাকা কিলো কাটা প্রায় 200 টাকা কিলো। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটা কমলা লেবুর দাম ৭ টাকা একটা ডিমের দাম ন্যূনতম ৭ টাকা। এই যে অতিরিক্ত বরাদ্দ এসেছে তিন টাকা তেত্রিশ পয়সা ছাত্র পিছু প্রতিদিন সেখানে সে ছাত্র আগে যা খাচ্ছিল অর্থাৎ সেই পড়ুয়া আগে যা খাচ্ছিল তার থেকে অধিক তাকে দিতে বলা হয়েছে মাংস মর সুমি ফল ও ডিম। এই তিন টাকা তেত্রিশ পয়সায় মাংস হবে না ফলও হবে না ডিম হবে না। এই কথা কারা বলছেন এই কথা বলছেন শিক্ষক মহল, এই কথা বলছেন বিরোধীপক্ষ। আপনি যেটা উঠে আসছে সবার কথা থেকে যে বড়জোর সপ্তাহে একদিন বা দুদিন টেনেটুনে মৌসুমী ফল বা এক টুকরো মাংস দেওয়া যেতে পারে। কারণ ৪০ গ্রাম মাংসের দাম যা তা একদিনে বরাদ্দ টাকায় কুলচ্ছে না এই কথা বিরোধী ও শিক্ষক মহল বলছেন।

শুধু তাই নয় শিক্ষকমহলের দাবী এই হারে যদি পুষ্টি দেওয়াই মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে তা চার মাসের জন্য কেন কেন সেটাকে বাড়ানো যাচ্ছে না। সেখানেই বিরোধীরা ইঙ্গিত করছেন যে এটা কি কোন পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে এবং গ্রামের স্কুল গুলোর ক্ষেত্রে একদিন মাংস খাওয়ানো দুদিন ভালো মন্দ খাওয়ানো, এগুলো বড় এফেক্ট করে। সেই কথা মাথায় রেখেই কি এই সিদ্ধান্ত প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা

তবে একটা বিষয় খুবই পরিষ্কার এই ছয়দিনের টাকা বাঁচিয়ে হয়তো সপ্তাহে একদিন মাংস মরসুমী ফল কিংবা ডিম দেওয়া যেতে পারে অর্থাৎ প্রত্যেক দিন ধরতে গেলে এটি বাস্তবায়িত করা প্রায় অসম্ভব তবে সপ্তাহে একদিন ধরলে এটি বাস্তবায়িত করা কিছুটা সম্ভব।

বিজেপির তরফ থেকে দিলীপ ঘোষবাবু কি বলছেন আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব

টিভি নাইন বাংলা সাংবাদিকের সামনে দিলীপবাবু বলেন

“মমতা ব্যানার্জি এইভাবে সব ইলেকশান জিততে চান কিন্তু বারবার এটা হবে না। বাংলার মানুষ ও সচেতন হচ্ছেন ইলেকশনের সময় মানুষের দুঃখ কষ্ট মনে পড়ে বাকি সময় মনে পড়ে না বিষয়টা অবজারভ করছেন”

এখন আমরা জানবো সুজন চক্রবর্তী সিপিএম নেতা তিনি কি বললেন। তিনি বললেন “ছাত্রদের পুষ্টিত জরুরি অন্য রাজ্য করে আমাদের রাজ্যের রাজ্য সরকার করেনি কেন এখন পুষ্টির জন্য এই মাংস দেওয়ার ব্যবস্থা করল নাকি… চার মাস সারা বছরের জন্য নয় … ছাত্রদের পুষ্টিত সারা বছর প্রয়োজন ছাত্রদের পুষ্টির জন্য এই সিদ্ধান্ত সারা বছরের জন্য নেয়া হতো এটা ছাত্রদের নয় এটা তৃণমূলের পুষ্টির জন্য করা হচ্ছে, সামনে ভোট হেরে যাবার চান্স আছে। একটু মাংসের নাম করে যদি তৃণমূলের আপাতত পুষ্টি হয় তৃণমূলের পুষ্টির প্রকল্প…”

এখন এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা যা বিভিন্ন ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে উঠে আসছে কোথাও গিয়ে আবারো কি আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে মিড ডে মিল নতুন মেনু ও তাতে যা টাকার কথা বলা হচ্ছে সেখানেও কোথাও কোথাও দুর্নীতির গন্ধ থাকতে পারে?

এখন বিরোধীরা বলতে চাইছে যে পঞ্চায়েত ভোটকে উদ্দেশ্য করে ছাত্র-ছাত্রীদের এই মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, গতকাল একটি টুইট করেছেন টুইতে তিনি একটি চিঠি পোস্ট করেছেন।

shuvendu adhikari says in twitter about the mid day meal.

তিনি এই চিঠিটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন তিনি বলছেন যে বর্তমানে স্কিমটা চলছে। সেটা নিঃসন্দেহে একটা দুর্নীতির কারণ হয়ে চলেছে। তিনি বলছেন যে অ্যাপ্রোপিয়েট ভাবে সংখ্যা দেখানো হয় না যে কতজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে, ঠিক করে ইউটিলাইজ করা হয় না কেন্দ্রের টাকা এই যে মিদ্দে মিলের টাকা কেন্দ্র ষাট শতাংশ দিয়ে থাকে স্টেট দিয়ে থাকে চল্লিশ শতাংশ এখানে কেন্দ্রের টাকা ব্যবহার করে মিড ডে মিল চলছে এবং বাকি টাকা রাজ্য সরকার অন্যান্য কাজে ব্যয় করছে এইরকম একটি অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী

এর আগে শিক্ষক নেতা স্বপন মন্ডল মুখ্যমন্ত্রী কে অভিযোগ জানিয়েছিল যে কোভিড কালে প্রচুর চাল বেঁচে গিয়েছে সেই চাল পড়ুয়াদের প্রাপ্য ছিল তাদের দেওয়া হয়নি তখনও শুভেন্দু অধিকারী সুর চড়িয়েছিলেন। তারা আসলে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে মিড ডে মিলেও একটা দুর্নীতির আশঙ্কা রয়েছে এবং দুর্নীতি হয়েছে বলেও তারা দাবি করছেন

তবে এই মুহূর্তে বিরোধীদের যা অবস্থান

suprabhat sahoo: