স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে-সংজ্ঞা : যে তন্ত্র উদ্দীপনা গ্রহণ পরিবহন এবং উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার মাধ্যমে জীব দেহে চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়, এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অতন্ত্রগুলির শারীরবৃত্তীয় কাজের দ্রুত সংযোগ , নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় সাধনের সাহায্যে বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীন পরিবেশের পরিবর্তনের মধ্যে সমতা রক্ষায় জীব দেহের ব্যবহারিক প্রকৃতির বিকাশ ঘটায় তাকে স্নায়ুতন্ত্র বা Nervous system বলে।
স্নায়ুতন্ত্র কি ও স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে class 10
class 10 এর জন্য যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে তাহলে বলতে হবে
প্রধানতঃ স্নায়ুকলা দ্বারা যে তন্ত্রের মাধ্যমে প্রাণীদেহে উদ্দীপনা গ্রহণ ও উদ্দীপনায় সাড়া প্রদানের মাধ্যমে পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বিধান ঘটে, এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় ও তাদের নিয়ন্ত্রণ দ্বারা শারীরবৃত্তীয় সাম্যাবস্থা বজায় থাকে, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।
স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে ও স্নায়ুতন্ত্র-এর শ্রেণী বিন্যাস । Classification of Nervous system
সমগ্র স্নায়ুতন্ত্রকে শারীরস্থান অনুযায়ী প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন—
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র (Central nervous system) এবং প্রান্তীয় বা প্রান্তস্থ স্নায়ুতন্ত্র (Peripheral nervous sys- tem)।
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র করোটি মধ্যস্থিত মস্তিষ্ক (Brain) এবং মেরুদণ্ডের নালিস্থিত সুষুম্নাকাণ্ড (Spinal cord) নিয়ে গঠিত। প্রান্তস্থ স্নায়ুতন্ত্র করোটি সুষুম্না স্নায়ু (Cranio-spinal nerves) এবং আন্তরযন্ত্রীয় স্নায়ু (Visceral nerves) নিয়ে গঠিত।
আন্তরযন্ত্রীয় স্নায়ুকে সিপ্যাথেটিক (Sympathetic) এবং প্যারাসিম্প্যাথেটিক (Parasympathetic) স্নায়ুতে ভাগ করা যায়। করোটি সুষুম্না স্নায়ু 12 জোড়া করোটি এবং 31 জোড়া সুষুম্না স্নায়ুর সমন্বয়ে গঠিত হয়।
স্নায়ুতন্ত্র-এর স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় । control and co-ordination of Nervous system
দৌড়ানোর সময় পায়ের পেশির দ্রুত সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে। সেজন্য পায়ের পেশি কোশে প্রয়োজন অতিরিক্ত গ্লুকোজ ও অক্সিজেন।
এক্ষেত্রে আমাদের মস্তিষ্ক রক্তের অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা নির্ধারণ করে। মধ্যচ্ছদা ও প্যারাস্থি পেশিতে প্রয়োজনীয় স্নায়বিক স্পন্দন পাঠায়। ক ন সময় পেশীর কেশীর খানে ফলে ফুসফুস দ্রুত ও গভীরভাবে শ্বাস নেয় ও অধিক পরিমাণ অক্সিজেন রক্তে মিশিয়ে দেয়।
এই সময় মস্তিস্ক থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ হৃৎপিণ্ডে পৌঁছালে হৃৎপিণ্ড দ্রুত পাম্প করে রক্তের মাধ্যমে গ্লুকোজ ও অক্সিজেনকে পায়ের পেশিতে পৌঁছে দেয়।
এই সমস্ত কাজগুলি স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিতভাবে ঘটে। সুতরাং কোনো উদ্দীপনার সাপেক্ষে সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গের নিয়ন্ত্রণ হল স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ এবং সায় প্রদানের সময় বিভিন্ন অঙ্গোর মধ্যে স্নায়ুকলা দ্বারা যে ভৌত সংযোগ গড়ে ওঠে তা হল স্নায়বিক সমন্বয়। কিন্তু আয়ুবিক নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় কোন পথে ঘটে। পরের প্যারাগ্রাফ সেই বিষয়েই অর্থাৎ স্নায়ুতন্ত্র কি ও স্নায়বিক নিয়ন্ত্রণ কোন পথে ঘটে থাকে।
স্নায়ুতন্ত্র-এর স্নায়বিক পথ । Path of Nervous System
স্নায়ুকেন্দ্র – মস্তিষ্ক বা সুষুম্নাকাণ্ড স্নায়ুকেন্দ্র (কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র) হিসাবে কাজ করে গৃহীত উদ্দীপনার বিশ্লেষণ করে সাড়া প্রদানের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়।
গ্রাহক : যেসব সংবেদনশীল কোশ বা স্নায়ুপ্রান্ত উদ্দীপনা গ্রহণ করে তা হল গ্রাহক। এক্ষেত্রে তোমার কানের কটির যন্ত্র শব্দ গ্রাহক হিসাবে কাজ করে।
কারক – স্নায়ুস্পন্দন দ্বারা উদ্দীপিত হয়ে যে সব অঙ্গ উত্তেজনায় সাড়া দেয়, তা হল কারক এক্ষেত্রে হেঁটে এসে তুমি হাত দিয়ে দরজা খুলে দিয়েছ। সুতরাং হাত ও পায়ের পেশি হল কারক।
বাহক যার মাধ্যমে গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা স্নায়ুকেছে পৌঁছায় ও স্নায়ুকেন্দ্র থেকে নির্দেশনা কারকে পৌঁছায় তারা হল বাহক। নিউরোন ও স্নায়ু বাহক হিসাবে কাজ করে। এক্ষেত্রে অডিটরি স্নায়ু-শ্রুতি গ্রাহক থেকে শব্দ উদ্দীপনাকে মস্তিষ্কের শ্রবণকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর মস্তি থেকে নির্দেশনা প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা হাত ও পায়ের পেশিতে পৌঁছায়। সুতরাং সমগ্র স্নায়বিক পথটি হল
স্নায়ুকোশ বা নিউরোন : স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক হিসাবে স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহণকারী কোশদেহ ও প্রবর্ধকযুক্ত বিশেষ ধরনের প্রাণীকোশ হল নিউরোন। আদর্শ নিউরোনের অংশগুলি হল :
নিউরোন
কোশ দেহ
(i) নিউরোনের নিউক্লিয়াসযুক্ত সবচেয়ে প্রসারিত অংশটি হল কোশদেহ বা সোমা বা পেরিক্যারিয়ন বা নিউরোসাইটন। (II) এটি বাইরে থেকে কোশপর্দা দ্বারা ঘেরা থাকে। এর ভেতরে থাকে দানাদার ও তন্তুময় সাইটোপ্লাজম বা নিউরোপ্লাজম।
(ii) নিউরোপ্লাজমে একটি আদর্শ নিউক্লিয়াস, বিভিন্ন কোশ অঙ্গাণু, যথা—মাইটোকন্ডিয়া, বিস্তৃত গলগিবস্তু, এন্ডোপ্লাজমীয় নালিকা (ER) ছড়ানো থাকে এবং সেন্ট্রোজোম থাকলেও তা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
(iv) নিউরোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ানো, প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্যকারী, সৌহযুক্ত রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন দানাগুলি হল নিল দানা
(v) নিউরোপ্লাজমে অনেক ইন্টারমেডিয়েট তন্তুর গুচ্ছ বা নিউরোফাইব্রিলস, অনুনালিকা (বা নিউরোটিউবিউল) থাকে যা কোশদেহের আকৃতি ও গঠনে সাহায্য করে।
(vi) কোশদেহের নিল দানাবিহীন শাঙ্কবাকার অংশ যা থেকে অ্যাক্সন উৎপন্ন হয়, তা হল অ্যাক্সন হিলক। কাজ নিউরোনের প্রবর্ধকগুলির মধ্যে সংযোগ স্থাপন ও সমস্ত বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হল এই অংশের কাজ বা
ডেনড্রন :
(i) কোশলদেহ থেকে উৎপন্ন স্বপ্ন দৈর্ঘ্যের, বহু শাখাপ্রশাখাস্ত, সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক হল ডেনছেন। এরা মতো গঠনযুক্ত (ডেনড্রাইটিক স্পাইন)। (II) এর মধ্যে নিসল দানা ও নিউরোফাইব্রিলযুক্ত নিউরোপ্লাজম থাকে কাজ এটি গ্রাহক বা অপর নিউরোনের অ্যাক্সন থেকে উদ্দীপনাকে কোশদেহে প্রেরণ করে (সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক )
অ্যাক্সন
- (1) কোশদেহের অ্যাক্সন হিলক অংশ থেকে উৎপন্ন লম্বা, শাখাবিহীন বা অল্প শাখাযুক্ত, নিসলদানাবিহীন চেষ্টীয় প্রবর্ধক হল অ্যাক্সন। এর শাখাগুলি (যদি থাকে) অ্যাক্সনের প্রায় সমকোণে উৎপন্ন হয় ও এদের কোল্যাটারলন অক্ষম বলে। এর শেষপ্রান্ত অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রান্তীয় শাখায় বিভক্ত হয়, এদের একত্রে প্রান্তবুরুশ বা টেলোডেনড়িয়া বলে।
- (ii) প্রান্তীয় শাখার শেষপ্রান্ত স্ফীত হয়ে সাইন্যাপটিক নব গঠন করে।
- (iii) অ্যাক্সনের কেন্দ্রীয় পর্দাবৃত স্তম্ভাকার অংশ হল অক্ষস্তপ্ত বা অ্যাক্সন সিলিন্ডার। এই অংশটি নিউরোপ্লাজমীয় অংশ বা অ্যাক্সোপ্লাজম দ্বারা পূর্ণ।
- (iv) অ্যাক্সোপ্লাজমে মাইটোকন্ড্রিয়া ও নিউরোফাইব্রিলস্ থাকলেও নির্মূল দানা থাকে না।
- (v) অ্যাক্সোপ্লাজম যে আবরণ দ্বারা বেষ্টিত থাকে তা হল অ্যাক্সোলোমা যা কোশদেহের কোশপর্দার বিবর্ধিত অংশ। অ্যাক্সোলেমা বাইরে থেকে স্বোয়ান কোশের মায়োলিন আবরণ (প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রে) দ্বারা আবৃত থাকে। এই আবরণটি হল নিউরিলেমা। অনেক ক্ষেত্রে স্বোয়ান কোশের। আবরণ যা অক্ষস্তম্ভকে এককেন্দ্রিকভাবে অনেকবার পাক খেয়ে স্ফিংক্সোমায়েলিন নামক লিপিড নির্মিত একটি আবরণ সৃষ্টি করে (মায়োলিনোজেনোসিস)। এটি হল মায়েলিন আবরণ বা মেডুলারি আবরণ যা অ্যাক্সোলেমা ও নিউরিলেমার মাঝে অবস্থিত। নিউরোনের আবরণযুক্ত প্রবর্ধক হিসাবে অ্যাক্সনকে সাধারণভাবে স্নায়ুতন্তু বলে।
নিউরিলেমার কাজ :
এটি আবরক হিসাবে কাজ করে এবং মায়োলিন আবরণীর সঙ্গে এটি বিনষ্ট স্নায়ুতন্তুর বা অ্যাক্সনের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। মায়েলিন আবরণীর কাজ : এটি তড়িৎ অপরিবাহীরূপে কাজ করে, ফলে মায়েলিন আবরণবিহীন অংশের মধ্য দিয়ে স্নায়ু উদ্দীপনার দ্রুত পরিবহণে সাহায্য করে এবং এটি আবরক হিসাবে স্নায়ুতন্ত্রকে রক্ষা করে ও সেইসঙ্গো পুষ্টি সরবরাহ করে। (vi) পাশাপাশি অবস্থিত দুটি স্বোয়ান কোশের মাঝে মেডুলারি আবরণবিহীন যে সংকীর্ণ খাজ অঞ্চল থাকে তা হল র্যানভিয়ারের পর্ব। • কাজ—কোশদেহ থেকে স্নায়ুস্পন্দনকে অপর কোনো নিউরোনে বা কারক অংশে প্রেরণ করে।
নিউরোনের কাজ: স্নায়ুস্পন্দন সৃষ্টিতে ও তার বিস্তারে সাহায্য করে। » নিউরোনের প্রকারভেদ : কাজের উপর ভিত্তি করে নিউরোনকে তিন ভাগে ভাগ রা যায়, যথা-
- 1. সংজ্ঞাবহ বা সংবেদী বা সেনসরি নিউরোন যে সব নিউরোন। গ্রাহক থেকে স্নায়ুস্পন্দনকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের দিকে বহন করে, তারা হল সংজ্ঞাবহ নিউরোন। এদের ডেনড্রন বড়ো ও অ্যাক্সন ছোটো হয়। এদের অ্যাফারেন্ট বা অন্তর্বাহী নিউরোন বলা হয়।
- 2. চেষ্টীয় বা আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরোন– যেসব নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে কারক অংশে স্নায়ু স্পন্দন পরিবহণ করে, তারা হল চেষ্টায় নিউরোন। এদের ডেনড্রন ছোটো ও অ্যাক্সন বড়ো হয় এদের ইফারেন্ট বা বহিবাহীনিউরোন বলা হয়।
- 3. সহযোগী বা অ্যাডজাস্টার নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অবস্থিত যেসব নিউরোন সংজ্ঞাবহ নিউরোন ও চেষ্টায় নিউরোনের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে, তারা হল সহযোগী নিউরোন।
নিউরোগ্লিয়া:
নিউরোন ছাড়া বহুপ্রবর্ধকযুক্ত স্নায়ুস্পন্দন বহনে অক্ষম যেসব কোশীয় উপাদান লামুতত্বে গঠনগত উপাদান হিসাবে থাকে এবং নিউরোনের রক্ষণে ও ধারক কোশরূপে কাজ করে, তারা হল নিউরোগ্লিয়া।
বৈশিষ্ট্য—(1) এরা হল পরিবর্তিত যোগকলার কোশ, (ii) এরা বহু প্রবর্ধকযুক্ত, বিভাজনে সক্ষম এবং মাদন পরিবহণে অক্ষম, (ii) স্নায়ুতন্ত্রের মোট কোশ সমষ্টির প্রায় 90% হল নিউরোগ্লিয়া কোশ। যেমন : অ্যাস্ট্রোনাইট, অলিগোডেনড্রোমিয়া এবং মাইক্রোমিয়া।
স্নায়ু কাকে বলে । স্নায়ু বলতে কি বোঝ । স্নায়ু কি । What is Nerve
যোগকলার আবরণে আবৃত, রক্তবাহযুক্ত স্নায়ুতন্তুগুচ্ছ হল স্নায়ু।
গঠন— একটি আদর্শ স্নায়ুতে অসংখ্য স্নায়ুতত্ত্ব, রক্তবাহ, লসিকাবাহ, ফ্যাট কোশ ও তিনটি যোগকলায় আবরণ থাকে। প্রতিটি স্নায়ুতত্ত্ব এন্ডোনিউরিয়াম নামক পাতলা যোগকলার আবরণে আবৃত থাকে। এন্ডোনিউরিয়াম আবৃত কতগুলি স্নায়ুতত্ত্ব আবার পেরিনিউরিয়াম নামক যোগকলার আবরণে আবৃত থাকে। পেরিনিউরিয়াম আবৃত স্নায়ুতন্তুগুচ্ছ হল ফ্যাসিকুলাস। কতগুলি ফ্যাসিকুলাস বাইরের দিক থেকে এপিনিউরিয়াম নামক যোগকলার আবরণে আবৃত হয়ে স্নায়ু গঠন করে। এই স্তরে রক্তবাহ, লসিকাবাহ, ফ্যাট কোশ ইত্যাদি থাকে। কাজ – (I) গ্রাহক অংশ থেকে স্নায়বিক উদ্দীপনাকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রেরণ করে (ii) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে স্নায়বিক নির্দেশনা কারক অংশে প্রেরণ করে। তাদের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তোমরা স্নায়ুকোশ বা নিউরোন, নিউরোথিয়া ও স্নায়ুর গঠনগত বৈশিষ্ট্য ও কাজ সম্বন্ধে জানলে। এবার এস দেখে নেওয়া যাক এদের মধ্যে কী ধরনের আন্তঃসম্পর্ক বর্তমান।
স্নায়ুকোশ, স্নায়ু ও স্নায়ুতন্ত্রর সম্পর্ক | Relationship Between Nerve and Nervous system
নিউরোনকে রক্ষা করতে, পুষ্টি সরবরাহ করতে, মায়েলিন আবরণ তৈরি ইত্যাদিতে নিউরোগ্লিয়া, ধারক কোশ হিসাবে সাহায্য করে। (ii) আবার নিউরোনের স্নায়ুতন্তু গুচ্ছাকারে যোগকলার আবরণে বেষ্টিত হয়ে তৈরী করে স্নায়ু।
অসংখ্য স্নায়ুকোশ, নিউরোগ্নিয়াকোশ ও ট্রাই-এর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে মস্তিষ্ক ও সুষুমাকান্ড। (iv) মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর (ও গ্রাহকের) সমন্বয়ে
গড়ে ওঠে স্নায়ুতন্ত্র। স্নায়ুতন্ত্রের সমস্ত কাজ স্নায়ুর (তথা স্নায়ুকোশের) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সেজন্য স্নায়ুকোশ বা নিউরোন হল স্নায়ুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একক।