আপনার মনে কখনো না কখনো এই প্রশ্ন জেগে থাকবেই বড়দিন কি আসলেই বড়দিন, বা ২৫ সে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন কেন বলা হয় ? আজ আমরা আপনার সামনে সেই তথ্য তুলে ধরব। আমরা জেনে নেবো borodin নামটি কেন হয়েছে , এই নামের ব্যাখ্যা কি , সত্যিই কি দিনটি খুব বড় ? বিশদে জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
🎂🍧বড়দিন কি আসলেই বড়দিন- জানুন বিশদে । Why Christmas is called Borodin in Bengali
২৫ সে ডিসেম্বর সারা বিশ্বে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে সেলেব্রেট করা হয় বা আনন্দ উৎসব পালিত হয়।
দিনটি কেবলমাত্র যে খ্রিস্টানরাই পালন করেন , তা নয়। সমস্ত ধর্মের মানুষরাই এই দিনটিকে ফাদার যীশুর জন্মদিন হিসেবে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন।
বড়দিন নামটি আসলে “সাহেবের বড়দিন” কথাটিকে সংক্ষিপ্ত করে বলা হয়। সাহেবের বড়দিন কথার মধ্যে “সাহেব” বলতে ইংরেজদের বোঝানো হয়।
borodin মানে এখানে সব থেকে ভালো দিন বোঝানো হচ্ছে। তাই সাহেবের বড়দিন মানে ইংরেজদের সব থেকে ভালোদিন বা ইংরেজদের সবথেকে সেরা দিন বোঝানো হচ্ছে।
বড়দিনের সাথে দিনের দৈর্ঘের কোনো সম্পর্ক নেই। এই দিনটি আসলে ইংরেজদের জন্য সেরা তাই এইদিনটিকে “সাহেবের বড়দিন” বা “বড়দিন ” বলে সম্বোধন করা হয়।
বড়দিনে কেক খাওয়া বা সেলিব্রেটে করার প্রথা কিভাবে এলো | why we celebrate and cake cut in christmas or borodin
বড়দিন মূলতঃ খ্রিস্টানদের জন্য সবথেকে উৎসবমুখর দিন। তাহলে ভারতবর্ষ বা বাংলাদেশকে অন্য ধর্মের মানুষরাও এই দিনটিকে উৎসবমুখর করে কেন পালিত করে ?
এর কারণ লুকিয়ে আছে পরাধীন ভারতবর্ষের সময়ে। বড়দিন নামকরণও সেই পরাধীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের সময় থেকেই।
অবিভক্ত ভারতবর্ষে যখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন ছিল, তখন ভারতবাসী দেখেছে এই দিনে সাহেব অর্থাৎ ইংরেজ তথা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্তারা প্রচুর হৈহুল্লোড় করে থাকে , মদ-মাংস আর কেক কাটার মাধ্যমে দিনটিকে ইংল্যান্ডের লোকেরা পালন করে থাকতেন।
ইংল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তাই তাঁরা দিনটিকে প্রচুর উৎসব -মুখ করে সেলেব্রেটি করতেন ,সেই কারণেই পরাধীন ভারতের লোকজন বলতেন যে ঐদিন সাহেবদের জন্য খুব বড়দিন।
তাই তখন থেকেই কেক কাটার রীতি নীতি ইত্যাদি ভারতীয়রাও গ্রহণ করতে শুরু করে।
দিনটিকে সেলেব্রেটি করার রীতি তখন থেকেই ভারত ও পরে বাংলাদেশবাসীর মধ্যে ইংরেজ শাসকদের দেখে দেখেই শেখা।
বড়দিনে কেক কাটা বা উপাদেয় খাদ্য সামগ্রী খেয়ে দিনটিকে উৎসবমুখর করে পালন করার রীতি আসলে ৩০০ বছর ধরে ভারতবাসী তথা বাংলাদেশবাসী দেখতে দেখতে ভুলে গেছে ধর্মের ভেদাভেদ।